শিক্ষক আসিফ মাহতাবের মতবিনিময়ে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবনায় সমালোচনা ও পরামর্শ
গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবাধিকার নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় মন্তব্য করেছেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। রবিবার (২৪ নভেম্বর) একটি মতবিনিময় সভায় তিনি তার মতামত প্রকাশ করেন।
আসিফ মাহতাব বলেন, ‘কত শতাংশ মানুষ জানে সোসালিজম কী? অনেকেই জানে না সোসালিজম কী। আমরা কি এটা চাই, বা সোসালিজম ঠিকমতো বোঝা হচ্ছে কিনা, এটা এখনও পরিষ্কার নয়। আপনারা বলছেন, ৭১-এর ঘটনা সোসালিজম ছিল।’
তিনি আরও বলেন, আর্টিকেল-২ এর ‘এ’ তে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, মুহাম্মদ (স.)-কে অবমাননা করা যাবে না। এটি ভাল, তবে আমি মনে করি, অন্য ধর্মের ব্যক্তিদেরও অবমাননা করা যাবে না, এমন একটি প্রস্তাবনা যুক্ত করা উচিত।
আসিফ মাহতাব বলেন, আর্টিকেল-৮-এ সেকুলারিজম সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি একটি বিপজ্জনক ধারণা। সেকুলারিজম বাস্তবায়িত হলে যারা অন্য ধর্মে বিশ্বাসী, তারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে যাবে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আমাকে সেকুলারিজম চাপিয়ে দিবেন? আমরা তো সেকুলারিজম বিশ্বাস করি না। আপনার দর্শন আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে আমাকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানাচ্ছেন।’
শিক্ষক আসিফ মাহতাব আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আসলে এপিসটোক্রেডিক্ট ডেমোক্রেসি চায়। এর মানে হল, যে কেউ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, বরং যার ন্যূনতম জ্ঞান আছে, সে তা করতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আমরা কি আসলে গণতন্ত্র চাই, এ বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি। শুধুমাত্র গণতন্ত্র বললেই হবে না।’
তিনি শেষদিকে বলেন, ‘আপনারা কি পশ্চিমাদের মতো মানবাধিকার আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দেবেন? এটা কি আসল মানবাধিকার? আপনাদের পশ্চিমা চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।’