পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে মোবাশ্বের মোনেমকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মোবাশ্বের মোনেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স অ্যান্ড পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন এবং সাসেক্স ও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। মোবাশ্বের মোনেম দুটি বই লিখেছেন এবং অসংখ্য প্রকাশনায় অবদান রেখেছেন। তাঁর ১০০টিরও বেশি নিবন্ধ ও গবেষণা প্রতিবেদন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার, পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনসহ ১২ জন সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। আজ মোবাশ্বের মোনেমকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে পিএসসির দুই সদস্য, হেলালুদ্দিন আহমদ ও মো. শফিকুল ইসলাম, এখনও পদত্যাগ করেননি। পিএসসির একজন কর্মকর্তা জানান, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের পদত্যাগের কোনো চিঠি পিএসসির কাছে আসেনি। তাঁরা ইমেইলও করেননি।
হেলালুদ্দিন আহমদ স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর শফিকুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৪তম কমিশনার ছিলেন এবং সিআইডি’র অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পদত্যাগ করা অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ফয়েজ আহম্মদ, অধ্যাপক উত্তম কুমার সাহা, নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ, অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব কে এম আলী আজম, সাবেক সচিব খলিলুর রহমান, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মাকছুদুর রহমান, সাবেক সচিব নাজমানারা খাতুন, এন সিদ্দিকা খানম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম পিএসসি সংস্কার করে এ সপ্তাহের মধ্যেই চাকরির পরীক্ষা শুরুর দাবি জানিয়েছেন। শনিবার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন। সারজিস বলেন, “যে তরুণ প্রজন্ম এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাঁদের কথা বিবেচনা করেই পিএসসি সংস্কার করতে হবে।”